বাসযোগ্য ঢাকার জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ২০৪১ সালের উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নগরায়ন হতে হবে। বাসযোগ্য ঢাকার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পয়ঃনিষ্কাশন, খোলা জায়গা, খেলার মাঠ থেকে শুরু করে জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘যত্রতত্র, খেয়ালখুশিমত স্থাপনা তৈরির সংস্কৃতি থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে।’
মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) গুলশানে দুই দিনব্যাপী ঢাকা উত্তর সিটি স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী নাগরিকদের ইতিবাচক মনোজাগতিক পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘আইন ও নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিকরাই উন্নত ও স্মার্ট নগরের প্রধান কারিগর।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নাগরিকদের সঠিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার বিষয়ে সচেতন করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সবার সচেতনতা এবং সহযোগিতা থাকলে বাসযোগ্য ঢাকা গড়া সম্ভব।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ঢাকা শহরকে পাঁচটি ক্যাচমেন্ট এলাকায় ভাগ করেন, কারণ দুর্বল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা বাসযোগ্য ঢাকার অন্তরায়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোগ করার প্রবণতা বেড়েছে। ফলে দৈনিক প্রচুর বর্জ্য এবং আবর্জনা তৈরি হচ্ছে।’
ঢাকা শহরে প্রতিদিন ছয় হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনা না গেলে বাসযোগ্য ঢাকার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এসময় ঢাকার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও সমস্যার সমাধানকল্পে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।