বাসে পরিচয়, সেই সূত্রে ধর্ষণের শিকার পোশাককর্মী, হেলপার গ্রেপ্তার
বাড়ি থেকে কর্মস্থল গাজীপুরের শ্রীপুর ফেরার পথে বাসেই পরিচয় হয় হেলপার সাগর শেখের সঙ্গে। এরপর সেই সূত্র ধরে প্রেম ও অবশেষে ধর্ষণের শিকার হন এক পোশাককর্মী। সেই মামলায় গতকাল রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত আসামি বাস হেলপার সাগরকে।
গ্রেপ্তারকৃত বাসশ্রমিকের নাম সাগর শেখ (৩০)। তার বাড়ি রাজবাড়ী সদরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায়।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া জানান, ভুক্তভোগী পোশাককর্মী শ্রীপুর উপজেলার স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তিনমাস আগে গ্রামের বাড়ি থেকে শ্রীপুরের বাসায় আসার পথে বাসের হেলপার সাগর শেখের সঙ্গে বাসেই পরিচয় হয়। সেই সূত্রে ধরে তাঁর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব হয়। গত ২৭ জুন এ সম্পর্কের সূত্রধরে ওই কিশোরী বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ডে সাগর শেখের সঙ্গে দেখা করতে যান।
পরে ওই কিশোরীকে সাগর স্থানীয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বেড়ানোর কথা বলে ইন্দ্রপুর এলাকায় আনোয়ারা বেগম নামের এক নারীর বাসায় নিয়ে যান। এ সময় সাগর শেখ ছাড়াও তাঁর বাবু ও নাজমুল নামের দুই সহযোগী ছিলেন। সেখানে মেয়েটিকে একটি কক্ষে নিয়ে দরজা আটকে দেন এবং নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন সাগর শেখ। পরে বাবু ও নাজমুল পর্যায়ক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এ সময় বাবু ভিক্টিমের গলার ও কানে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোনটি নিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে চলে যান। বন্ধ ঘরে তাঁর চিৎকার শুনে এক পর্যায়ে আনোয়ারা বেগম ঘরের দরজা খুলে দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছেলে-মেয়েদের অবৈধ সুযোগ দেওয়ার জন্য ওই বাসাটি ভাড়া দেওয়া হয়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ওই কিশোরী বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করলে রাতেই সাগর শেখকে স্থানীয় এমসি বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অন্যরা পলাতক রয়েছেন। সাগর শেখকে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভার্চুয়াল আদালতে আবেদন করা হবে।