বাড়ছে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা, থাকছে চিকিৎসক সংকট
পাবনায় করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় প্রতিদিন বাড়ছে নতুন রোগী। জেলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১০০ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে রোগী ভর্তি রয়েছে ১১২ জন। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে আগামী দুএকদিনের মধ্যেই হাসপাতালের করোনা ইউনিট ১৫০ শয্যার উন্নিত করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে শয্যা সংখ্যা বড়লেও নতুন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে চিকিৎসক সংকট।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সালেহ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘করোনা ইউনিটে শয্যা সংখ্যা বাড়াতে এরই মধ্যে হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগ হাসপাতালের নার্সিং ইউনিটে স্থানান্তর করা হচ্ছে।’
ডা. সালেহ মোহাম্মদ জানান, করোনা রোগীর চাপ সামলাতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হলেও নেই অতিরিক্ত চিকিৎসক। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মাত্র ১০ জন চিকিৎসককে দিয়ে শিফটিং ডিউটি করে করোনা ইউনিট চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হলেও নতুন করে কোনো চিকিৎসক না পাওয়ায় সীমিত সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে বিপুল রোগীর সেবা দিতে আরও হিমশিম খেতে হবে।
ডা. সালেহ আরও জানান, অতিরিক্ত রোগীর করোনা চিকিৎসার জন্য ৩৬ জন চিকিৎসক ও ৮০ জন নার্সের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এখনও কোনো চিকিৎসক নিয়োগ পাওয়া যায়নি। তবে ৬৩ জন নতুন নার্স নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে, করোনা রোগীদের জন্য হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখনও শেষ হয়নি হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের কাজ। কবে কাজ শেষ হবে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
ডা. সালেহ মোহাম্মদ জানান, করোনায় যে তিনজন মারা গেছেন সবাই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় হাসপাতালে এসেছিলেন। তাদের অক্সিজেন লেভেল অনেক নিচে থাকায় কিছুই করার ছিল না।
পাবনা জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ১৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া গত এক সপ্তাহে এক হাজার ৬৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, ‘জেলায় এ পর্যন্ত একজন রাশিয়ান নাগরিকসহ করোনায় ৩৪ জন মারা গেছেন। বিপুল সংখ্যক করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে করোনা ইউনিটের শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।’