বাড়ির সামনে বর্জ্য পেলে আরও বর্জ্য ফেলে আসা হবে, মেয়র আতিকের হুঁশিয়ারি
বাড়ির সামনে কোরবানির পশুর বর্জ্য না ফেলার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
পাশাপাশি মেয়র আতিক নগরবাসীর প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, অন্যথায় ডিএনসিসির ময়লার গাড়ি বেশি পরিমাণ বর্জ্য সেখানে ফেলে আসবে।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে দেশের সবচেয়ে বড় ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে বাইপ্যাপ এবং হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ঈদুল আজহায় স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সবার আন্তরিক সহযোগিতায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় ঈদুল আজহায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মোট ১১ হাজার ৫০৮ জন কর্মী কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কাজে নিয়োজিত থাকবে।
ডিএনসিসি’উ মেয়র বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্যে যাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে নগরবাসীর মধ্যে এরই মধ্যে ছয় লাখ ৫০ হাজার বর্জ্য ব্যাগ, ৫০ মেট্রিক টন ব্লিচিং পাউডার এবং পাঁচ লিটার আয়তনের ১০০৫ ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছ।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারি চলাকালে যার যা সামর্থ্য আছে, তা নিয়েই ত্যাগের মানসিকতায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণে গুলশানের নগর ভবনে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলো হলো—০২৫৮৮১৪২২০, ০৯৬০২২২২৩৩৩ ও ০৯৬০২২২২৩৩৪।
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র বিজিএমইএ প্রদত্ত বাইপ্যাপ সুবিধাসহ ১৫টি হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন এবং ৫০ হাজার মাস্ক হাসপাতালের পরিচালকের নিকট হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান এবং হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।