বিউটিশিয়ান ধর্ষণ : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থী কারাগারে
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অন্তঃসত্ত্বা এক বিউটিশিয়ানকে বাসায় ডেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবীর এই আদেশ দেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের হাজির করেন। এ সময় আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু আসামিরা জবানবন্দি দিতে অসম্মতি জানালে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামি দুজন হলেন-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম। এর আগে গত ১৪ অক্টোবর রাজধানীর শুক্রাবাদে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
ধর্ষণের শিকার তরুণী (২৫) পেশায় বিউটিশিয়ান। আগে বিউটিপার্লারে কাজের অভিজ্ঞতা থাকায় ভিকটিম করোনা পরবর্তী সময়ে সেবা দিতে ফেসবুকে একটি পেজ খোলেন। আগে সেবা নেওয়া পরিচিত এবং অনলাইনে যোগাযোগ করা নারীরা তার প্রধান সেবাগ্রহীতা।
গত ১১ অক্টোবর বিকেলে ফোনে তেমনই একটি সেবার (ফেসিয়াল) অনুরোধ পান ভুক্তভোগী তরুণী। তাসলিমা নামের এক নারী ফোন করেছিলেন বলে ভিকটিম পুলিশকে জানান। ওই দিন ভিকটিম সাভার থেকে ফেসিয়াল সেবা দিতে শুক্রাবাদ এলাকায় আসেন। পথে তাসলিমার ভাই পরিচয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদ ফোনে বেশ কয়েকবার তার সঙ্গে কথা বলেন। সন্ধ্যায় শুক্রাবাদ এলাকায় পৌঁছালে রিয়াদ ওই তরুণীকে তাদের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।
কিছুক্ষণ পর সিয়াম ও জিতু নামে তার আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন রিয়াদ। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এরপর তারা ভিকটিমের কাছ থেকে মোবাইলফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পথে ছেড়ে দিয়ে চলে যান। পরে ভিকটিমকে তার স্বামী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে প্রথমে বিষয়টি ধানমণ্ডি থানাকে জানানো হয়। তবে ঘটনাস্থল তাদের আওতাধীন না হওয়ায় বিষয়টি শেরেবাংলা নগর থানাকে বুঝিয়ে দেয় ধানমণ্ডি থানা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শেরেবাংলা নগর থানায়।