‘বিএনপির নির্যাতনের কাহিনি হাজার রাতেও বলে শেষ করা যাবে না’
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি দেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর যে নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল তা আরব্য রজনীর গল্পের মতো, এক হাজার এক রাতেও বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।’
বুধবার মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ীতে পাইকপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের পর সামরিক শাসন জারি করে দেশ শাসন করেছেন। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া, ৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল, ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি সেরকমভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য আলাদিনের আশ্বর্য প্রদীপ পেয়েছি। সে প্রদীপটি হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। এ গতিকে আমাদের ধরে রেখে আরও গতিশীল করতে হবে। সেজন্য, দলকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।’
সততা, আদর্শ ও দলের প্রতি আনুগত্য দেখে নেতা নির্বাচনের জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ড. রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের কর্মীবাহিনী ও তাদের ঐক্যই দলের সবচেয়ে বড় শক্তি। সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে আরও শক্তিশালী ও সংঘবদ্ধ করতে হবে। দলের গঠনতন্ত্র ও আইন মেনে শৃঙ্খলা ও ঐক্য বজায় রাখতে হবে। যাতে করে বিএনপি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, রাজাকার-আলবদর ও ধর্মান্ধরা অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্র করে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে, ক্ষমতায় না আসতে পারে।’
সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। টংগিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস, সাবেক হুইফ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।