বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা
বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামী ১ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলটি। রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন ভোর ৬টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন, দুপুর ১২টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২ সেপ্টেম্বর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাসহ দেশবরেণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। একইভাবে দেশের সব জেলা, মহানগরসহ সব ইউনিট কর্মসূচি গ্রহণ করবে। দিবসটি উপলক্ষে এরই মধ্যে পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে।
আগামী ৩০ আগস্ট গুম হওয়াদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির উদ্যোগে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। সারা দেশের জেলা ও মহানগর ইউনিটও একই কর্মসূচি পালন করবে।
সংবাদ সম্মলেন রিজভী বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির লক্ষ্মীপুরের বাড়িতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ৪০টি মোটরসাইকেলযোগে এসে দুর্ধর্ষ ডাকাতির কায়দায় বেপরোয়া ও বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে এ্যানিকে বাসায় না পেয়ে তার ভাই ও ছেলেসহ চারজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। সন্ত্রাসীরা বাসার এসিসহ মূল্যবান আসবাবপত্রও ভাঙচুর করে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এই কাপুরুষোচিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
এছাড়াও গতকাল দেশব্যাপী বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে বিভিন্ন অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জে (দক্ষিণ) শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ১০-১২ জন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করে। সন্ত্রাসীরা স্থানীয় বিএনপির একটি মার্কেটেও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় পুলিশ কর্তৃক বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে বেধড়ক লাঠিচার্জ করলে ৫-৬ জন গুরুতর আহত ও শতাধিক নেতাকর্মী আহত, ৫০টির অধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও ১৫-২০টি মোটরসাইকেল আটক করে।
এমন আরও কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি। আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।