বিএনপির রাজনীতি ষড়যন্ত্র-মিথ্যাচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির রাজনীতি ষড়যন্ত্র আর মিথ্যাচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তাদের রাজনীতিটা ছিল জনগণের বিপক্ষে। জনগণের ওপর বোমা নিক্ষেপ, পেট্রল বোমা নিক্ষেপ এবং জনগণকে হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে বন্দি করে রাখা—এর মধ্যেই তাদের রাজনীতি সীমাবদ্ধ ছিল। এ কারণে তারা প্রতিনিয়ত জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে।’
খুলনা বেতার কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা (বিএনপি) সিরিজ বৈঠক করেছে। এই সিরিজ বৈঠকের মাধ্যমে তারা যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতো, জনগণের সঙ্গে বৈরিতার যে রাজনীতি এতদিন থেকে করেছে, সেটি থেকে তারা সরে জনমুখী রাজনীতিটা করবে, তাহলে তাদের জন্যই সেটি মঙ্গল হতো। কিন্তু পত্র-পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, সিরিজ বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জন সরকার পতনের আন্দোলন—এগুলো ১২ বছরে ধরে শুনে আসছি এবং আমাদের ধাক্কা দিতে গিয়ে তারাই পেছনে পড়ে গেছে। তাদের এ ধরনের সিদ্ধান্ত যদি হয়, তাহলে তাদের রাজনীতি এগোবে না।’
সরকারের প্রতি বিএনপির কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া তো আদালত কর্তৃক খালাস পাননি। এমনকি জামিনও পাননি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাঁকে মহানুভবতা দেখিয়ে সাজা স্থগিত করে তাঁকে কারাগারের বাইরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই সাজা স্থগিতের আদেশ সরকার চাইলে আগামীকালও বাতিল করতে পারে। বাতিল করলে খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে ফেরত যেতে হবে। তাই বিএনপির উচিত প্রধানমন্ত্রী যে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে কারাগারের বাইরে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, এজন্য সরকারের প্রতি, বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো।’
পরে খুলনার খালিশপুর বাংলাদেশ টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এরপর দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনাকালিন সময়ের জন্য সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল থেকে ৭৫ জন সাংবাদিককে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন তিনি। এ সময় খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা পরিষদের সভাপতি শেখ হারুন অর রশিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতিসহ স্থানীয় সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা সচ্ছল-সুস্থ, তাঁদের জন্য এই অনুদান নয়। করোনাকালিন সময়ে যাঁরা চাকরিচ্যুত, বেতন পাচ্ছেন না—তাঁদের জন্য এই দ্বিতীয় দফার অনুদান দেওয়া হচ্ছে। সরকার সবার জন্য, তাই যাঁরা সরকারবিরোধী নিউজ করেন, সরকারের সমালোচনা করেন, তাঁদেরও এই অনুদান দেওয়া হচ্ছে।’
সাংবাদিকদের সরকারের সফলতার খবর প্রচারের আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ জিডিপিতে এগিয়ে গেছে, ক্যাপিটাল আয়ও বেড়েছে। বদলে গেছে বাংলাদেশ। এখন দেশের ভিক্ষুকও ১০ টাকা না দিলে খুশি হয় না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল আবারও চালু করা হবে। বড় বড় সংবাদপত্রের মালিকেরা বিদেশ থেকে নিউজপ্রিন্ট আমদানি করতে পারেন, কিন্তু ক্ষুদ্র সংবাদপত্রের জন্য খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল চালু করা হবে।’