বিএনপির সাংসদ হারুনসহ ৩ জনের সাজা বহাল, সাংসদ পদে থাকতে বাধা নেই
দুর্নীতি মামলায় বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদের পাঁচ বছর, চ্যানেল নাইন’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এনায়েতুর রহমান বাপ্পীর দুই বছর ও গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেকের তিন বছর সাজা সংশোধন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তিন জনই আগে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন। পরে তারা জামিনে বের হন। সেগুলোকেই পূর্ণ সাজা হিসেবে গণ্য করে নতুন করে তাদের কারাগারে যেতে হবে না বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
সাংসদ মো. হারুনুর রশীদ ১৬ মাস কারাভোগ করেছিলেন। তাঁর কারাদণ্ড পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে ১৬ মাস করায় তিনি সংসদ সদস্য পদে বহাল থাকবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
হাইকোর্ট রায়ে বলেন, ‘আসামিদের তিনজনের আপিল খারিজ করা হল, তবে নিম্ন আদালতে সাজা সংশোধন করে কমিয়ে তিনজন যতুটুকু সাজা খেটেছেন তা সাজা হিসেবে গণ্য হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও শাহরিয়া বিপ্লব। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদকে পাঁচ বছর, এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে দুই বছর এবং ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এ ছাড়া কারাদণ্ডের পাশাপাশি হারুন অর রশীদকে ৫০ লাখ টাকা, বাপ্পীকে এক লাখ টাকা ও সাদেককে ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে হারুনকে ছয় মাস, বাপ্পীকে দুই মাস ও সাদেককে ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়।
শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় দুদকের করা মামলায় তাদেরকে এসব সাজা দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তাঁরা। আজকের রায়ে এসব জরিমানা মওকুফ করে আপিল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় শুল্ক মুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ মো. হারুনুর রশীদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয়। বাদী হলেন, পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুস আলী। মামলাটি তদন্ত করে মো. হারুনুর রশীদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। পরে আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একই বছরের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন।