তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপিনেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে অশালীন এবং অশোভন বক্তব্য দেওয়ার কারণে যে মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানোর মধ্য দিয়ে মির্জা ফখরুল সাহেব প্রমাণ করেছেন, তাদের দলের নেতারা যে অশোভন, অশালীন কথা বলছেন, এগুলো তাদের ইন্ধনেই বলছেন এবং সেগুলোকে তারা প্রশ্রয় দেন, না হয় বিএনপির মহাসচিব সে দাবি করতে পারতেন না।’ 

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস, বাংলাদেশ-এর ৪২তম জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। আইডিইবি সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন।

এ সময় বিএনপিনেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদের বক্তব্য ‘খালেদা জিয়ার প্রতি অবিচার হলে জনগণ মেনে নেবে না’ এর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘খালেদা জিয়া এবং তাঁর স্বামী জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে যে নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছেন, দেশের ইতিহাসের পাতায় যে কালিমা লেপন করেছেন সেগুলো কালো অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তাঁর মতো খালেদা জিয়াও হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেছেন, বঙ্গবন্ধুর এক হত্যাকারীকে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর তারা বিরোধীদলীয় নেতা বানিয়েছিলেন।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘খালেদা জিয়ার সময়ে আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাঁর পুত্রের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়। আমাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। তাঁর নেতৃত্বেই দেশে অগ্নিসন্ত্রাস-অগ্নিবোমার রাজনীতি হয়।’

‘জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করেছিলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে হাজার হাজার সেনাবাহিনীর জওয়ান এবং অফিসারকে বিনাবিচারে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন, হত্যা করেছিলেন এবং লাখ লাখ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছিলেন, হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলেন’, বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

‘খালেদা জিয়ার এরকম নিষ্ঠুর আচরণ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতি যে সহানুভূতি, মহানুভবতা দেখিয়েছেন, দেখিয়ে যাচ্ছেন সেটি বাংলাদেশে আগে কখনও ঘটেনি, বিএনপির এজন্য কৃতজ্ঞ হওয়া প্রয়োজন’- উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া আদালতে দণ্ডিত আসামি। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করার প্রসঙ্গ আসবে। তিনি ক্ষমা চাইলে রাষ্ট্রপতি বিবেচনা করতে পারেন, নাও করতে পারেন। তিনি ক্ষমা চাওয়ার পরে এ প্রসঙ্গটি আসবে।’

এর আগে বক্তৃতায় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সকে  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘এ সংগঠনের গোড়াপত্তন হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। আজ সারা দেশে প্রায় পাঁচ লাখ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছেন। কোনো একটি বিল্ডিং বানানোর ক্ষেত্রে দেখা যায়, বড় ইঞ্জিনিয়ার অফিসে বসে থাকে ড্রয়িং করে আর মাঠে কাজ করেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা। প্রধানমন্ত্রী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল কারণ তারা দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করছেন।’