বিএনপি ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের কল্যাণে কাজ করে : ড. মঈন খান
বিএনপি ক্ষমতার জন্য নয় মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। আজ শনিবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ঈদ উপহার বিতরণ এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন শীর্ষক আলোচনা সভায় ড. আব্দুল মঈন খান এসব কথা বলেন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জামায়াতের সঙ্গে আন্দোলন করলে সেটা জায়েজ হয়। বিএনপি কারো সাথে রাজনীতি করলে সেটা অন্যায় হয়। ২০০১ সালের আগে আমাদের জামায়াতের সাথে একটা নির্বাচনি জোট ছিল। সেটা ছিল অংকের বিষয়। বিএনপি জাতীয়তাবাদের রাজনীতি করে।’
মঈন খান আরও বলেন, ‘সংবিধানের জন্য বাংলাদেশের মানুষ নয়, বাংলাদেশের মানুষের জন্য সংবিধান রচিত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যা চাইবে সেভাবে সংবিধান তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ সংবিধান পরিবর্তন করতে চাইলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। আওয়ামী লীগ কি ভুলে গেছে? তারা সংসদের ভিতরে ১১ মিনিটে সংবিধান পরিবর্তন করে বাকশাল কায়েম করেছিল। আওয়ামী লীগ কোনো দিন গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একনায়কতন্ত্রে ও এক দলীয় শাসন ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে। ৭২ থেকে ৭৫ তারা যেভাবে বাকশাল কায়েম করেছিল। তারা এবার অলিখিতভাবে বাকশাল কায়েম করেছে। তারা মানুষের ওপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে। সকলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
ড. মঈন খান বলেন, ‘সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ জিয়া মানুষের কাছে ফিরে এসেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ তাকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করেছিল। এ দেশের মানুষ তাকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব দিয়েছিল। তিনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়ে মানুষের কল্যাণ করেছেন। এটাই বাংলাদেশের ইতিহাস। মানুষের চাহিদার ভিত্তিতে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার টিকে থাকার জন্য সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে। এ সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা নেই।
ড. আব্দুল মঈন খান আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে গেছে। তারা মানুষকে হত্যা, গুম, নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে আছে। দুর্নীতি করে সরকার লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। আজকের সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ কাকে ভোট দিবে। তারা সেটা বুঝে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চায় না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, মানুষের চাহিদার জন্য, মানুষের আস্থার জন্য সংবিধান একবার কেন প্রয়োজন দশবার পরিবর্তন করতে হবে।’
আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমরা আগামীতে এই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো। দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে, মানুষ কষ্টে আছে, সেই কষ্ট দূর করার জন্য বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কাজ করে যাচ্ছেন। সকল মানুষের পাশে বিএনপি আছে। আমরা ক্ষমতার জন্য নয় মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করি।’
স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকারিয়া হোসেন ইমনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, যুবদলের সহ-স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ সোহেল প্রমুখ।