বিএনপি-স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ
কাউন্সিলর প্রার্থীদের ধাওয়া-পাল্ট ধাওয়া, দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে মরধর, ককটেল বিস্ফোরণ, বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া, কেন্দ্র দখলসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে আজ শনিবার ফেনী পৌর সভার নির্বাচন শেষ হয়েছে।
তৃতীয় ধাপের ফেনী পৌরসভার নির্বাচনে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ফেনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট শুরুর আগেই মারধর করে কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আলাল উদ্দিন আলাল।
আলাল অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রশাসন ও পুলিশ ফেনীবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ১৮টি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়া হলেও তারা কেউ অভিযোগের ফোন রিসিভ করেননি। আওয়ামী লীগ কেন্দ্র দখল করেছে কিন্তু প্রশাসন মাঠে বিএনপির প্রতিপক্ষ হিসেবে অবস্থান নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি ও স্বতন্ত্র দুই কাউন্সিরর প্রার্থী নুরুল ইসলাম ও তারেকুল ইসলাম পারভেজকে মারধর করেছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন রিটার্নিং অফিসারকে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’
ফেনী পৌর নির্বাচনে ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা ছয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সে ওয়ার্ডগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি তুলনামুলক কম ছিল। মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৯১ হাজার ৬৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৭ হাজার ৩০৭ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছে ৪৪ হাজার ৩৫৫ জন। ৪৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে।