বিচারকের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা আইনানুগভাবে এগিয়ে যাবে : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের বিরুদ্ধে যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আইনানুগভাবেই এগিয়ে যাবে।
আজ শনিবার সকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এমন মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
এ ছাড়া আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ফৌজদারি অপরাধে যেকোনো সময় মামলা করা যাবে, কখনোই তামাদি হবে না।’
‘৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়’—রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দেওয়া বিচারককে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রধান বিচারপতি এ নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, ‘ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নেওয়ার বিষয়ে বিচারকের পর্যবেক্ষণ সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। এ পর্যবেক্ষণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভুল নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই আইন অনুযায়ীই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমার মনে হয়, এ বক্তব্য বিচারকদের জন্য বিব্রতকর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি একটি ভুল নির্দেশনা দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। সেজন্য তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটাও সম্পূর্ণ আইনানুগভাবেই কিন্তু এগিয়ে যাবে।’
অন্যদিকে, এ সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘হাইকোর্টের ক্ষমতা রয়েছে পর্যবেক্ষণ দেওয়ার। সুপ্রিম কোর্ট তা রাখতেও পারেন, বাদ দিতেও পারেন। ট্রায়াল কোর্টের জজ সাহেবের পর্যবেক্ষণ দেওয়ার কোনো ক্ষমতাই নেই।’
রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে পর্যবেক্ষণ দেওয়া বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রধান বিচারপতি এ নির্দেশ দেন।