বিচারক-আইনজীবীদের নতুন যে ড্রেসকোড নির্ধারণ করলেন প্রধান বিচারপতি
দেশে চলমান তাপপ্রবাহের প্রেক্ষাপটে নিম্ন আদালতে ও ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানির সময় বিচারক ও আইনজীবীদের কালো কোট এবং গাউন পরতে হবে না। দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির আবেদনের প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আজ শনিবার (১৩ মে) সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে নিম্ন আদালতে মামলা শুনানির সময় পরিধেয় পোশাকের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত দেন।
প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে, শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয় যে, অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত, ট্রাইব্যুনালসমূহের বিচারকবৃন্দ এবং আইনজীবীগণ ক্ষেত্রমত সাদা ফুলশার্ট বা সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেক ব্যান্ড/ কালো টাই পরিধান করবেন। এক্ষেত্রে কালো কোট এবং গাউন পরিধান করার আবশ্যকতা নেই। এ নির্দেশনা আগামী রোববার হতে পরবর্তী নির্দেশ প্রদান না করা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।’
এর আগে বিভিন্ন সময় আদালতে আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ভিন্ন ভিন্ন ড্রেস কোড নির্ধারণের জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী। ওই আবেদনে বলা হয় অতিরিক্ত গরমে নিয়ম অনুযায়ী কালো কোট, গাউন, কলার, ব্যান্ড/ টাই পরিধানের কারণে প্রতিবছর বহু সংখ্যক আইনজীবী হিট স্ট্রোক করেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়া তীব্র গরম এবং তাপপ্রবাহের কারণে কোট-গাউন পরে অনেক বয়স্ক আইনজীবী আদালতে যেতে পারেন না।
অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার আইনজীবীদের নির্ধারিত পোশাক পরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে একটি মামলার শুনানি করেন শফিউল আলম নামের এক আইনজীবী নিজ চেম্বারে যাওয়ার সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সহকর্মীদের অনেকের দাবি ‘হিট স্ট্রোকে’ আইনজীবী শফিউল আলমের মৃত্যু হয়।