বিচারক কামরুন্নাহারকে শোকজ করা হবে : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ধর্ষণের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে পুলিশকে মামলা না নেওয়ার পর্যবেক্ষণ দেওয়া বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের বক্তব্য অসাংবিধানিক ও বেআইনি। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির চিঠি পেলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এরপর আইন অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেবে।
আইনমন্ত্রী আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সুপ্রিম কোর্ট বিচারক কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাঁকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আদালতের আদেশ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমার মনে হয়, এ বক্তব্য বিচারকদের জন্য বিব্রতকর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি একটি ভুল নির্দেশনা দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। সেজন্য তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটাও সম্পূর্ণ আইনানুগভাবেই কিন্তু এগিয়ে যাবে।’
অন্যদিকে, এ সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘হাইকোর্টের ক্ষমতা রয়েছে পর্যবেক্ষণ দেওয়ার। সুপ্রিম কোর্ট তা রাখতেও পারেন, বাদ দিতেও পারেন। ট্রায়াল কোর্টের জজ সাহেবের পর্যবেক্ষণ দেওয়ার কোনো ক্ষমতাই নেই।’
রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে পর্যবেক্ষণ দেওয়া বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রধান বিচারপতি এ নির্দেশ দেন।