বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে শপথবাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে দেশব্যাপী সর্বস্তরের মানুষকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা অনুষ্ঠানস্থলে যোগদানের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর পর প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী শপথ পাঠবাক্য পাঠ করান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে শেখ রেহানা দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে শপথ বাক্য পাঠ করেন।
শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রিয় দেশবাসী আজ বিজয় দিবসে আমি গভীরভাবে শ্রদ্ধা জানাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ৩০ লাখ শহীদের প্রতি। এ ছাড়া ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের প্রতি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এবং সারা দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়টি স্মরণ করেন। একই সঙ্গে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যার যা কিছু আছে, তা-ই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়’—এ আহবানে সবাই সাড়া দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
এর পর প্রধানমন্ত্রী শপথবাক্য পাঠ করান।
‘সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ’
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তার।
আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের বিজয় দিবসে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহিদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না—দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’