বিদেশি প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না : শেখ পরশ
বিদেশি প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে এবং নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। গাজীপুর ও লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় ‘পদযাত্রা’র নামে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও সহিংসতার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘বিএনপি এখন চাচ্ছে—লাশের রাজনীতি করতে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি বিভিন্ন অপচেষ্টা করবে। তারেক জিয়া চাচ্ছেন, বাংলাদেশে যাতে নির্বাচনটা না হয়। কারণ, তিনি মানি লন্ডারিং মামলা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা তাঁর বিরুদ্ধে চলছে। তিনি জানেন—সঠিক নির্বাচন হলে ১৫১ সিট তাঁরা পাবেন না। আমি তাদের (বিএনপি) বলতে চাই, নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনেই এবং নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটা অবাধ, নিরপেক্ষ এবং যথাযথ পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। বিদেশি প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না।’
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপির পদযাত্রায় কোনো জনসম্পৃক্ততা নাই। কারণ, জনগণের ওপর তাদের অত্যাচারের কথা জনগণ ভুলে নাই। ২০১৪ সালের অগ্নিসংযোগের কথা জনগণ ভুলে নাই। সার ও বিদ্যুতের জন্য কৃষকদের ওপর গুলির কথা জনগণ ভুলে নাই। এজন্য তারা হতাশায় ভুগেছে এবং সেই হতাশা থেকে তারা দিগ্বিদিক হারিয়ে ফেলেছে। তাদের সন্ত্রাসী চেহারা বের হয়ে আসছে।’
পরশ বলেন, ‘আমরা জনগণের পাশে থাকার কাজ অব্যাহত রাখব এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তার প্রশ্নে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রশ্নে যুবলীগ আপসহীন, ভ্যানগার্ড হিসেবে আমরণ সজাগ ও সরব দৃষ্টি রাখব এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করব।’
সমাবেশে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত একটি জঙ্গি সংগঠন, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সংগঠন দেশকে ভালোবাসে না, দেশের মানুষকে ভালোবাসে না। এই সংগঠন যখনই রাজপথে এসেছে তখনই মানুষের জানমালের ওপর হামলা হয়েছে। বিএনপি যেকোনো সময় মানুষের ওপর হামলা করে জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারে। তাদের অতীত ইতিহাস সে কথাই বলে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, মুহা. বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. মো. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী ও দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।