‘বিদেশে আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রফেশনালদের চাহিদা আকাশচুম্বী’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাল যুগ মানে মেধা ও সৃজনশীলতার যুগ। আমাদের সন্তানেরা অত্যন্ত মেধাবী ও সৃজনশীল। আমাদের নতুন প্রজন্ম যেখানে সুযোগ পেয়েছে, সেখানেই দক্ষতার সাক্ষর রাখছে। বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ আজ সফটওয়্যার রপ্তানি করছে। বিদেশে আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রফেশনালদের চাহিদা আকাশচুম্বী। ডিজিটাল বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে।’
বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি, সাইবার সিকিউরিটি, ডেটা সেন্টার ম্যানেজমেন্ট, এথিকাল হ্যাকিং ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ওপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইসিটি প্রফেশনালদের প্রশিক্ষণ সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আজ শনিবার এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক কে এম আফতাব উল ইসলাম ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল আবদুর রহমান খান জিহাদ বক্তব্য দেন।
সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় চার নীতির ওপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধু ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উল্লেখ করে এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সে পথেই হাঁটছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। ডিজিটাল বাংলাদেশ শব্দটি পৃথিবীতে বাংলাদেশেই প্রথম উচ্চারিত হয়। পরবর্তী সময়ে ব্রিটেন, ভারত, মালদ্বীপ ও পাকিস্তান তাদের ডিজিটাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।’
উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ বেয়ে গত ১২ বছরে বাংলাদেশ বিস্ময়কর অগ্রগতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ উন্নয়নে বিশ্বের রোল মডেল।’
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর কম্পিউটারসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে গৃহীত যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেন। এর ফলে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে এক নতুন যুগের ভিত্তি স্থাপিত হয়। কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহারের মাধ্যমে তিনি কম্পিউটার প্রযুক্তি সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেন। মোবাইল ফোনের মনোপলি ব্যাবসা ভেঙে দিয়ে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছানোর সুযোগ সৃষ্টি করেন।
এসব কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সহযোগিতার প্রশংসা করেন মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা কম্পিউটার সোসাইটির প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে একটি সময়োপযোগী কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।