বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি আর টেনে নেওয়া সম্ভব না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি খাতে যে হারে ভর্তুকি দিচ্ছি, সেটাই তো আমাদের বাজেটের জন্য সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দিলে লাভবান হয় বিত্তশালীরা, যারা এসি রুমে বসে অফিস করে। কাজেই এখন আর বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়। বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে খরচ হবে, সেই দামেই সবাইকে বিদ্যুৎ কিনতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার (১৫ মে) গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের বিষয়ে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদের উপনেতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
আইএমএফের ঋণ নিলে দেশে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য বৃদ্ধি পায়, সরকার এটি কীভাবে সমন্বয় করবে? একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দিলে কে বেশি লাভবান হয়? যে সারাক্ষণ এসি রুমে বসে অফিস করে সে লাভবান হয়। সাধারণ মানুষ তো এতে লাভবান হয় না। অথচ আমাদের বিরাট অংকের টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এটা আমাদের পক্ষে আর টেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এখন দাম সমন্বয় করা হবে। যে দামে উৎপাদন হবে, সেই দামেই বিদ্যুৎ কিনতে হবে। যে যতটুকু কিনতে পারবে সে ততটুকুই ব্যবহার করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সময় যে আমরা বাজেট দিতে পারছি, সেই জন্যই আমাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। এখন কোন অনাথ এসে কী বলল, সেটাই আমরা ভেবে দেখছি না। আইএমএফ তাদেরই ঋণ দেয়, যাদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা আছে। আমাদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে ডলার সংকট রয়েছে। দেশে উৎপাদন বাড়ছে, বিদুৎ চাহিদা বাড়ছে, ডলার সংকট কিছুটা হবে। তবে, দেশে যদি কোন সংকট তৈরি হয়, তিন মাসের খাদ্য কেনা সম্ভব কিনা। সেটা আমাদের রয়েছে। ডলার নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই।’