বিদ্যুৎ ব্যবহারে সংযমী ও মিতব্যয়ী হোন : প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকদের সংযমী ও মিতব্যয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ অনুরোধ জানান।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোজা, গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুম—সব মিলিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা প্রচণ্ড বেশি। শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার পর সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগ সর্বাত্মক কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে, সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দ, সবার স্বার্থে বিদ্যুৎ ব্যবহারে আপনাদের সংযমী ও মিতব্যয়ী আচরণ প্রত্যাশা করছি।
ওই পোস্টে ‘পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে সম্মানিত বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রতি আহ্বান’ শিরোনামে বিদ্যুৎ বিভাগের একটি লিফলেটও শেয়ার করেছেন তিনি।
লিফলেটে বলা হয়, বিগত এক যুগে বিদ্যুৎখাতে অভাবনীয় উন্নতির ফলে একদিকে যেমন দেশের সব জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে, তেমনি চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতাও বেড়েছে। সরকার গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ বছর পবিত্র রমজান, গ্রীষ্মকাল ও সেচ মৌসুম একই সময়ে হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা অত্যধিক বেড়েছে। অন্যদিকে, বর্তমানে বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।
পবিত্র রমজান মাসে সম্মানিত গ্রাহকদের বিদ্যুতের অপচয় রোধ ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো পালনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
১. বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা।
২. দিনে জানালার পর্দা সরিয়ে রাখা এবং সূর্যের আলো ব্যবহার করা।
৩. ইফতার ও তারাবির সময় মসজিদ, শপিংমল, ডিপার্টমেন্ট স্টোর এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এসি’র তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রাখা।
৪. দোকানপাট, শপিংমল, বিপণী বিতান, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি গ্যাস স্টেশনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাতির ব্যবহার পরিহার করা।
৫. পিক আওয়ারে বৈদ্যুতিক বিলবোর্ড বন্ধ রাখা।
৬. পিক আওয়ারে রি-রোলিং মিল, ওয়েল্ডিং মেশিন, ওভেন ও ইস্ত্রির ব্যবহার বন্ধ রাখা।
৭. ইজিবাইক, অটোরিকশা ইত্যাদি অবৈধভাবে চার্জিং হতে বিরত থাকা।
৮. অফপিক সময়ে রাত ১১টা থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত সেচ পাম্প চালানো।
৯. সেচ পাম্পে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে ‘ওয়েট অ্যান্ড ড্রাই’ পদ্ধতিতে সেচের ব্যবস্থা নেওয়া।
১০. সিএনজি পাম্প বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা।
১১. কোনো কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে ধৈর্যসহ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা।
এ ছাড়া লিফলেটে বিদ্যুৎ খাতের সংস্থা বা কোম্পানিগুলোর কেন্দ্রীয় অভিযোগ কেন্দ্রের ফোন বা হটলাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।