বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানী প্রায় ফাঁকা
ঈদের পর শুরু হওয়া বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে আজ শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে তৎপর ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদিও কঠোর বিধিনিষেধ ও সারা দিনে কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে রাজধানী পুরোটাই ছিল প্রায় ফাঁকা। অপরদিকে, সরকারি নির্দেশনার কারণে আজও মার্কেট, শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
আজ যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, শাহবাগ, তেজগাঁও, ফার্মগেট, পান্থপথ, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী এলাকায় দেখা যায়, রাস্তায় প্রাইভেটকার, রিকশা, খাদ্যসামগ্রী বহনকারী যানবাহন, মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ ছোট ছোট কিছু পরিবহণ চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে সেগুলো একেবারে হাতেগোনা। এসব সড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট রয়েছে।
রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চললেও প্রধান সড়কগুলোয় কোনো গণপরিবহণ চলতে দেখা যায়নি। বিধিনিষেধের প্রথম দিনে গতকাল শুক্রবারের তুলনায় আজ যানবাহন একটু বেশি।
রাস্তায় বের হওয়ার যথাযথ কারণ দেখাতে না পারলে অনেককে জরিমানা করা হচ্ছে। অনেকে আবার সদুত্তর দিয়ে ছাড় পেয়েছেন। বিধিনিষেধ মানাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাইরেন বাজিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। পবিত্র ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোরতম বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এ হিসাবে কঠোরতম বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন আজ।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের প্রথমদিন গতকাল শুক্রবার অহেতুক ঘর থেকে বেরোনোর কারণে ৪০৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০৩ জনকে এক লাখ ২৭ হাজার ২৭০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপরদিকে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ ৪৪১টি গাড়ির ১০ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে।