বিধিনিষেধের সময় গড়াচ্ছে, রাস্তায় বাড়ছে মানুষ
সারা দেশে সরকারঘোষিত সাত দিনের ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ চলছে। বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন আজ শনিবার রাস্তায় মানুষের জটলা বেশি দেখা যাচ্ছে। এর আগে কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে শহরের মূল সড়কে মানুষের আনাগোনা কম ছিল। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার বৃষ্টি-বাদলের দিনে রাস্তায় মানুষের চাপ তুলনামূলক কম ছিল।
তবে, মূল সড়কের বাইরে, অর্থাৎ অলিগলিতে গত দুদিনের মতো আজও বেশি মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। মূল সড়ক কিংবা অলিগলিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করছেন কম সংখ্যক মানুষ।
যদিও রাজধানীজুড়ে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ প্রতিপালনে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেরা। বিধিনিষেধের প্রথম দিনে, অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরির কারণে ৫৫০ জনের নামে মামলা দেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার দেওয়া হয় ৩২০ জনের নামে। আর জবাবদিহিতা তো ছিলই।
আজ শনিবার রাজধানীর কলাবাগান, কাঁঠালবাগান, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ ও ফার্মগেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ রাস্থায় জনসমাগম বেশি। গতকাল ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম থাকলেও, আজ তা বেড়েছে। রিকশার উপস্থিতি বরাবরের মতোই দৃশ্যমান।
রাজধানীর কাঁঠালবাগানের একটি সেলুনের দোকান গত দুদিনের মতো আজও খোলা ছিল। খোলা রাখতে অসুবিধা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে গৌতম কুমার নামের ক্ষৌরকার আজ শনিবার সকালে বলেন, ‘পুলিশ এ রাস্তায় গত দুদিনে একবারও আসেনি। আমরাও দোকান খোলা রেখেছি। মানুষও চুল কাটাতে আসছে।’ পাশেই খোলা ছিল তিনটি চা-সিগারেটের দোকান। সেগুলোও গত দুদিন খোলা রাখতে দেখা গেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সার্ক ফোয়ারার তল্লাশি চৌকিতে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে কাওকে তল্লাশি করতে দেখা যায়নি। একই চিত্র পান্থপথেও। যদিও ১৫ মিনিটের মধ্যে পান্থপথে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে। ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজার হয়ে শাহবাগের দিকে যাওয়ার সময় এক বয়স্ক ব্যক্তির পথ আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। যদিও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।