গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং নতুন পদ সৃজনসহ বিভিন্ন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করেছেন। সমাবেশে আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আলটিমেটাম ঘোষণা করা হয়। আজ বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে বারির প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘বারি বিজ্ঞানী সমিতির (বারিসা)’ উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশে বারিসার সভাপতি ড. সুজিৎ কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেনসহ কেন্দ্রীয় সদস্য আক্তার উজ জামান ও সোহেলা আক্তার বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, বারিতে কর্মরত নবম গ্রেডভুক্ত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে যোগদানকারী বিজ্ঞানীরা বারি কর্মচারী প্রবিধানমালা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে তিনটি ধাপে উচ্চতর গ্রেডের পদে (ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা-ষষ্ঠ গ্রেড, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা-চতুর্থ গ্রেড ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা-তৃতীয় গ্রেড) পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। আগে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে যাঁরা যোগদান করতেন, তাঁরা চার বছর পর সপ্তম গ্রেডে সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত হতেন। কিন্তু বর্তমানে সিলেকশন গ্রেড বিলুপ্ত করা হয়েছে। ২০১২ সালের আগে যোগদান করা বিজ্ঞানীরা যাঁরা পদোন্নতিপ্রাপ্ত হননি, তাঁরা ১০ বছর চাকরিকাল পূরণ সাপেক্ষে উচ্চতর গ্রেড হিসেবে ষষ্ঠ গ্রেড প্রাপ্ত হয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে ইতোমধ্যে যাদের ১০ (দশ) বছর চাকরিকাল পূর্ণ হয়েছে কিন্তু পদোন্নতিপ্রাপ্ত হননি তাঁরা বারি কর্তৃপক্ষের কাছে ষষ্ঠ গ্রেডে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির আবেদন করেন।

বক্তারা বলেন, বিজ্ঞানীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং বারিসার অনুরোধে বারি কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞানীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে ইতোমধ্যে যাদের ১০ (দশ) বছর চাকরিকাল পূর্ণ হয়েছে তাঁরা ষষ্ঠ গ্রেডে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্ত হবেন বলে মত দেন এবং এ বিষয়ে মহাপরিচালকের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেন। কিন্তু অদ্যবধি বিজ্ঞানীদের ষষ্ঠ গ্রেড প্রদান করা হয়নি। এর পরিবর্তে বারি কর্তৃপক্ষ কমিটির সুপারিশ আমলে না নিয়ে বিজ্ঞানীদের অষ্টম গ্রেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিজ্ঞানীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বারির বিজ্ঞানীরা ষষ্ঠ গ্রেড দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। বারিসার এ দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেছেন অন্য বিজ্ঞানীরাও।

বক্তারা আরও বলেন, আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।

বারিসার অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশে বারির প্রায় সব বিজ্ঞানী অংশ নেন।