বিমসটেক এফটিএ বাস্তবায়নে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিশ্রুতি চাইলেন মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যতো শিগগির সম্ভব বিমসটেক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাস্তবায়নের জন্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি বৃহত্তর প্রতিশ্রুতির আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ব্যাংককে ভার্চ্যুয়াল মোডে অনুষ্ঠিত উনিশতম বিমসটেক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে (এমএম) বক্তৃতার সময় মোমেন এ আহ্বান জানান। বিমসটেকের সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বৈঠকে যোগ দেন।
ড. মোমেন তাঁর আলোচনায় বিমসটেক প্রক্রিয়ার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এ অঞ্চলের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিমসটেক সদস্য দেশগুলিকে একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন খাতে সহযোগিতার প্রধান দেশ হিসেবে, ড. মোমেন প্ল্যাটফর্ম জুড়ে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার রূপরেখা তুলে ধরেন এবং বিমসটেক (এফটিএ)’র আইনি চুক্তি চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে গত বছরের ৩০শে মার্চ অনুষ্ঠিত পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে এ পর্যন্ত গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়।
বৈঠকে এ বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠেয় প্রস্তাবিত ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে গ্রহণের জন্য বিমসটেক সচিবালয়ের বেশ কিছু প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়সহ সব বিমসটেক প্রক্রিয়ার জন্য ‘কার্যবিধি’ অনুমোদন করা হয়।
বৈঠকে ‘সামুদ্রিক পরিবহণ সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি’ এবং ‘বিমসটেক ব্যাংকক ভিশন ২০৩০’-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়।
বিমসটেক সহযোগিতার পুনর্গঠিত সেক্টর/উপসেক্টরের আওতায় সুনীল অর্থনীতি, পার্বত্য অর্থনীতি ও দারিদ্র্য বিমোচনের অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্লু ইকোনমিতে সহযোগিতার নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ।
বৈঠকের সমাপনীতে প্রতিনিধিদলের প্রধানরা একটি সমৃদ্ধ, সুসংহত ও ফলপ্রসূ বিমসটেক বিনির্মাণে অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে সক্রিয় সহযোগিতা উদ্বুদ্ধকরণে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে বিশদভাবে একটি ‘যৌথ বিবৃতি’ জারি করেন।
বৈঠকে ২০২৩ সালের নভেম্বরে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সম্মেলনে বাংলাদেশের বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করার কথা রয়েছে।