বিশেষ শর্তে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু
করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত অতি ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো ছাড়া অন্যান্য দেশে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ শনিবার থেকে আন্তর্জাতিক রুটে এসব ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে আটকে পড়া অভিবাসী যাত্রীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) গতকাল শুক্রবার রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে ফ্লাইট চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু শর্ত মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি দেশে চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ শর্তের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বেবিচকের সদস্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়াউল কবির স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে আসা ও বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ বছর বয়সের নিচে শিশুদের বাদে সব ভ্রমণকারীকে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা চলমান থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস, জর্জিয়া, ভারত, ইরান, মঙ্গোলিয়া, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তিউনিসিয়া থেকে কেবল বাংলাদেশি প্রবাসী বা নাগরিকেরা আসতে পারবেন। বাংলাদেশ আসার পর ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টিনের জন্য সরকারের নির্ধারিত স্থান বা নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে থাকতে হবে।
অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, চিলি, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ইরাক, কুয়েত, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, নেদারল্যান্ডস, প্যারাগুয়ে, পেরু, কাতার, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক ও উরুগুয়ে থেকে যেকেউ বাংলাদেশে আসতে ও যেতে পারবেন। তবে বাংলাদেশে এলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন মানতে হবে। আর কাতার, বাহরাইন ও কুয়েত থেকে বাংলাদেশে আসা ব্যক্তিদের প্রথমে তিন দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এরপর করোনা পরীক্ষা শেষে ১১ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এ দুই তালিকার বাইরে থাকা দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ভ্রমণকারীদের করোনা নেগেটিভ সনদ রাখা এবং ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ ছাড়া যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সনদ নিতে হবে।