বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলে বাংলাদেশ সমন্বয় করবে : প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে তার প্রতিফলন ঘটবে। আজ শনিবার অনলাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর- এই তিন মাসের লস যদি আমি ধরি, প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকার উপরে লস চলে গেছে। সো, এগুলোর সবকিছুর ব্যাপার আছে। লসটাকে কাভার করে সরকার যদি মনে করে ভর্তুকি দিব, তারপরেও আরেকটা বিপদ হলো- আমাদের তেলটা বাইরে চলে যেতে পারে। কারণ, আমাদের প্রাইস কম ছিল। সে কারণে এটা সমতার মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে।’
‘যদি বিশ্ববাজারে তেলের দাম আবার কমে যায় তাহলে আমরা আবার অ্যাডজাস্ট করে নেব, কোনো সমস্যা হবে না’, যোগ করেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
গত বুধবার সরকার খুচরা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) লিটারপ্রতি ১৩ দশমিক শূন্য এক টাকা কম দামে ডিজেল এবং ছয় দশমিক ২১ টাকায় ফার্নেস অয়েল বিক্রি করায়, প্রতিদিন ২০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। প্রতি লিটারের বিক্রয়মূল্য, তাদের আমদানি করা দামের চেয়ে কম। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রলিয়ামের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দাম পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।’
সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এরপর গতকাল শুক্রবার থেকে সারা দেশে পণ্য ও যাত্রীবাহী সড়ক পরিবহণে ধর্মঘট শুরু করে মালিক ও শ্রমিকরা। সেই ধর্মঘট আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, ভাড়া সমন্বয়ের বিষয়ে আগামীকাল রোববার সরকারের সঙ্গে তাদের বৈঠক রয়েছে। সেখানে সমাধান হলেই পুনরায় বাস ও ট্রাক চলাচল শুরু হবে।
এর মধ্যেই আজ বিকেল থেকে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা। এখন চলাচলের জন্য মানুষ এখন ভিড় করছেন রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে। ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।