বিশ্বব্যাংক ভুল করেছে সেটা তারা অনুধাবন করতে পেরেছে : তথ্যমন্ত্রী
পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে ভুল করেছে সেটা তারা অনুধাবন করতে পেরেছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ভুল বুঝতে পেরে বিশ্বব্যাংক ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রধানমন্ত্রীকে ডেকেছে।’
সচিবালয়ে আজ মঙ্গলবার (২ মে) বাংলাদেশ সংবাদপত্র শ্রমিক ফেডারেশন ও প্রেস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নেতা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এমন মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
অনুধাবনের জন্য বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা এখন বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়। তবে, তাদের এই অর্থ সহযোগিতা বাংলাদেশ নেবে কি না সেটা ভেবে দেখছে সরকার। কারণ কাদের সহযোগিতা নেবে আর কাদেরটা নেবে না সেটা বাংলাদেশের এখন ভাবার সক্ষমতা আছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করে বিশ্বব্যাংক যে ভুল করেছিল এখন তারা তা বুঝতে পেরেছে। পরবর্তীতে পদ্মা সেতুসহ আরও কয়েকটি প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক আবার ঋণ দিতে চেয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশ সেই ঋণ নেয়নি। কোন প্রকল্পের ঋণ নেবে আর কোথায় নেবে না সেই সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। সেই সাহস ও সামর্থ্য অর্জন করায় আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে।’
নতুন করে দুই দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা চুক্তিকে সাধুবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইএমএফ-এর প্রধান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন।’
শুধু সরকারের সমালোচনা না করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক কী বলছে তার দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সংবাদপত্র শ্রমিক ফেডারেশন ও প্রেস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের ৯ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের অনেকগুলো দাবি যৌক্তিক এবং দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি সম্ভব। এর মধ্যে নিয়মিত বেতন-ভাতা না দেওয়া এবং বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এই দাবিগুলো দ্রুত সময়ে মেনে নেওয়া সম্ভব। এজন্য আমার মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটিকে কোন সংবাদপত্রে নিয়মিত বেতন দেওয়া হয় না তার একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেব।’
প্রতিবেদনের পর সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি-দাওয়াগুলো পূরণ করার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
এসময় সংবাদপত্র শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।