বিষা পাগলার ঘরে মিললো আড়াই কোটি টাকা ও স্বর্ণালংকার
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার গাজীপুর গ্রামের ‘আধ্যাত্মিক পাগল’ বলে পরিচিত মরহুম হাজি আমির হোসেন ওরফে বিষা পাগলার ঘরে পাওয়া গেছে ২ কোটি ৪৫ লাখ নগদ টাকা, বিভিন্ন ধরনের বিদেশি মুদ্রা ও প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণসহ একটি আইফোন।
আজ বুধবার সকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মরহুম বিষা পাগলার ওয়ারিশ ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে তার ঘর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে ৫৫ বছর বয়সে বিষা পাগলা তাঁর নিজ বাড়ির একটি কক্ষে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী কিছুই ছিল না। তাই তাঁর আত্মীয়রা তাঁকে তাঁর ক্রয়কৃত ৩০ শতাংশ জমিতে কবর বানিয়ে দাফন করে। দাফনের পর থেকে গত কয়েকদিন ধরে বিষা পাগলার আত্মীয়রা সন্দেহ করছিল তাঁর ঘরে থাকতে পারে টাকা পয়সাসহ স্বর্ণালংকার। এমন সন্দেহ থেকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁর ওয়ারিশদের সামনে রেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাঁর ঘরের সিন্ধুক খুলে দেখে লাখ লাখ টাকা।
এমন খবর মানুষের মুখে ছড়িয়ে পড়লে তাঁর বাড়িতে জমায়েত হয় শত শত মানুষ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় তিতাস থানার পুলিশ। পরে ওই টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র উপস্থিত সকলের সামনে বস্তাবন্দি করে মরহুম বিষা পাগলার বিল্ডিংয়ের একটি রুমে তালাবদ্ধ করে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়। আজ বুধবার পুলিশ জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী টাকাগুলো গণনা করে ওয়ারিশ হিসেবে তার বড় ভাই আওলাদ হোসেন, ছোট ভাই জামাল হোসেন, বোন মোর্শেদা, পালক মেয়ে তাসলিমা ও ভাতিজা মিঠুর কাছে বুঝিয়ে দেয়।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুধীন চন্দ্র দাস টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গাজীপুর গ্রামে মৃত বিষা পাগলের ঘরে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার খবর পেলে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। পুলিশের হেফাজতে টাকাগুলো উদ্ধার করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীরা তাদের ওয়ারিশদের হাতে বুঝিয়ে দেয়।