বিস্ফোরণে দুই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যু
নাজমুল হোসেন (২৫)। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড়। রাজধানীর বংশালে বাসায় বাবা মাসহ পরিবার নিয়ে থাকেন। কাজ করেন নর্থসাউথ রোডের আলুবাজারে বিস্ফোরণ হওয়া মার্কেটের নিচতলায় আনিকা স্যানিটারির কর্মচারী হিসেবে। প্রতিদিন দুপুরে বাসা থেকে খাবার খেয়ে আবার দোকানে ফিরেন। আজও দুপুর ৩টার দিকে খাবার খেয়ে দোকানে আসেন। বিকেলে বিস্ফোরণের সময় নাজমুল দোকানেই বসা ছিলেন। হঠাৎ বিস্ফোরণের বিকট শব্দে দোকানে আগুন ধরে যায়। তার শরীর পুড়ে যায়। মাথাসহ দেহের একাধিক স্থানে ক্ষত হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেঝেতে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বিলাপ করছিলেন নাজমুলের ছোট ভাই, বোন ও খালা পারভীন আক্তার। ভাইকে হারিয়ে পাগলপ্রায় নাজমুলের বোন।
বিলাপ করতে করতে নাজমুলের খালা পারভীন আক্তার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দুই ভাই এক বোনের মধ্যে নাজমুল সবার বড়। দোকানে চাকরি দিয়ে নাজমুলের সংসার চলে। নাজমুলের বাবা কাজ করতে পারেন না। ছোট ভাইও বাসায়। এখন আমার বোনের পরিবারের কী হবে?
একইভাবে ঢামেক হাসপাতালে লাশের অপেক্ষায় আহাজারি করছেন বিস্ফোরণে নিহত মাঈনুদ্দিনের ছেলে রিভেল।
রিভেল জানান, তার বাবা ওই মার্কেটের নিচতলার একটি দোকানের কর্মচারি ছিলেন। তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। বিস্ফোরণের পর নিহত মাঈন উদ্দিনের পকেটে পাওয়া মোবাইলফোন থেকে বাসায় ফোন দেওয়া হয়। পরে তারা ঢামেক হাসপাতালে এসে লাশ শনাক্ত করেন।
রিভেল বলেন, বাবা আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। এখন আমাদের পরিবারের কী হবে?