বিয়েতে নাচানাচি : গায়ে ধাক্কার জেরে কিশোর খুন
বিয়েতে নাচানাচি। এরই মধ্যে গায়ে লেগে যায় ধাক্কা। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। তারই জেরে প্রাণ দিতে হয় এক কিশোরকে। গতকাল সোমবার কুড়িগ্রাম সদরের পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় ঘটেছে এমন ঘটনা। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুমন বাস্ফরের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে নিহত কিশোরের নাম রাহুল বাস্ফর। সে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কাচারি বাজার এলাকার প্রদীপ বাস্ফরের ছেলে এবং বর রনি বাস্ফরের খালাতো ভাই।
বরপক্ষের লোকজন জানান, গত রোববার রাতে গাইবান্ধার কাচারি বাজার এলাকার স্বপন বাস্ফরের ছেলে রনি বাস্ফরের সঙ্গে কুড়িগ্রাম সদরের পুরাতন রেলস্টেশন পাড়ার সুমন বাস্ফরের মেয়ে সুমি রানী বাস্ফরের বিয়ে হয়। বরপক্ষের শতাধিক লোক আসেন। সোমবার সকালে বিদায়ের আগে নাচের সময় কনের প্রতিবেশি এক যুবকের সঙ্গে রাহুলসহ কনেপক্ষের কয়েকজনের ধাক্কা লাগলে। এতে তাঁদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এ সময় উভয়পক্ষের লোকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিছু সময় পরে স্থানীয় এক যুবক হঠাৎ ছুটে এসে রাহুলের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বরপক্ষের আরও কয়েকজন আহত হন বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী বরযাত্রী রুবন বাস্ফর বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি একটু দূরে অবস্থান করছিলাম। ছুরিকাঘাতের সময় রাহুলকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে অনেকে আহত হন। হামলাকারী ওই যুবক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান।’
কনের বাবা সুমন বাস্ফর বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি বাড়িতেই ছিলাম। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমার জানা নেই। আমি দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করছি।’
সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘হামলাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’ তবে তদন্তের স্বার্থে হামলাকারীর নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি।