বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু : ১৫ বন্ধু রিমান্ড শেষে কারাগারে
ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন মৈনট ঘাটে তারিকুজ্জামান সানি (২৮) নামে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দোহার থানায় করা হত্যা মামলায় ১৫ বন্ধুর তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজ তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক এই আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া ১৫ আসামি হলেন- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।
এর আগে গত শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নি.) শামছুল আলম আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। সে আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই বিকেলে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন মৈনট ঘাটে ১৫ বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানি। বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের পঞ্চম সেশনের ছাত্র সানির বাবার নাম হারুন অর রশিদ। বাড়ি রাজধানীর হাজারীবাগে।
নিখোঁজ হওয়ার পর সানির সন্ধানে নামে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে ডুবুরি দল। ওইদিন রাতে রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে শুক্রবার বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে মৈনট ঘাট থেকে ওই বুয়েট শিক্ষার্থী মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ১৫ জুলাই বিকেলে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া অন্য ১৫ বন্ধুকে।