বৃষ্টিতে ডুবল রাজধানীর সড়ক, ৩ শ্যালো মেশিনে পানি সরাল পুলিশ
গভীর রাত থেকে বৃষ্টির শুরু। চলতে থাকে সকাল পর্যন্ত। এতে সড়কে জমে যায় পানি। তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। বেধে যায় যানজট। গন্তব্য যেতে হাঁটু সমান পানি ভেঙে হাঁটা শুরু করে মানুষ। পরে সড়কের পানি সরাতে শ্যালো মেশিন নিয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় নেমে পড়ে পুলিশ। অবশেষে মেলে মুক্তি।
সকাল থেকে পানি জমে যাওয়ায় বনানী থেকে প্রায় গাজীপুর পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়। এ জনদুর্ভোগ থেকে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে তিনটি শ্যালো মেশিন সংগ্রহ করে পুলিশের ট্রাফিক উত্তর বিভাগ। পরে সড়কে জমে থাকা পানি সরানোর কাজ শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে কমে আসে সড়কের পানি। স্বাভাবিক হতে থাকে যানচলাচল। যদিও বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত যানজট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উত্তরা ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) বদরুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বদরুল হাসান বলেন, ‘মূলত বিমানবন্দর থেকে খিলখেত সড়ক পর্যন্ত পানি জমে। আমি ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, সড়কের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না। ফলে, পানি কমতে অসুবিধা হয়েছে। আবার সড়কের খানাখন্দ ও গর্তে পড়ার আশঙ্কায় যানবাহনগুলো চলছিল না। বিআরটিএর চলমান কাজের জন্য সড়কে অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।’
বদরুল আরও বলেন, ‘তাই, মানুষ হেঁটে যাত্রা শুরু করে। মানুষের বেশ ভোগান্তি হয়েছে। সেজন্য, আমরা তিনটি শ্যালো মেশিন সংগ্রহ করেছি। তারপর দুপুর ১২টা থেকে সেচে পানি কমানো হয়। এ সময়ের মধ্যে বনানী, খিলখেত, বিমানবন্দর, উত্তর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরেছে। মানে, গাড়ি চলতে শুরু করেছে। যদিও যানজট এখনও রয়েছে। সকাল থেকে এতো বেশি যানজট হয়েছিল, যা গাজীপুর পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছিল। আস্তেধীরে যানজট কমে যাবে।’