বেজমেন্টে আটকে থাকতে পারে আশায় ভোর থেকে স্বজনদের ভিড়
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ১৮জন নিহত হয়েছেন। আহত শতাধিক। তবে, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। আজ বুধবার (৮ মার্চ) ভোর হওয়ার পর থেকে স্বজনরা নিখোঁজদের সন্ধানে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির সামনে জমিয়েছেন। এখনও স্বজনদের আশা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বেজমেন্টে আটকে থাকতে পারে অনেকে।
স্থানীয়রা জানায়, নর্থ সাউথ রোডের সাততলা ভবনটিতে বিস্ফোরণে বাংলাদেশ স্যানিটারি ও আনিকা এজেন্সি নামের দুটি দোকান রয়েছে। দুটি দোকানই স্যানিটারি সামগ্রীর। বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশ স্যানিটারির ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান ওরফে স্বপন ও আনিকা এজেন্সির মালিক মমিনুদ্দিন সুমনের খোঁজ এখনও মেলেনি। স্বজনদের ধারণা, দুজনই বেজমেন্টের ভেতর আটকে আছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজে সাময়িক বিরতি টানে। আজ সকালে আবার উদ্ধারকাজ শুরু করে তারা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্থানের সিদ্দিক প্লাজায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন—নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর নদী (৩৫) ও তাঁর স্বামী মমিনুল (৩৮), বংশাল সুরিটোলার সুমন (২১), যাত্রাবাড়ীর শেখদির মনসুর হোসাইন (৪০), কেরানীগঞ্জ চুনকুটিয়ার রাহাত (১৮), চাঁদপুর মতলবের আল আমীন (২৩), কলাবাগান গ্রিন রোডের ইশহাক মৃধা (৩৫), বংশাল আলু বাজারের ইসমাইল (৪২) এবং কদমতলী মাতুয়াইলের মাইনুদ্দীন (৫০), হৃদয় (২০), ইদ্রিস মিয়া (৬০), আবৃত্তি বেগম (৭০), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), নাজমুল হোসেন (২৫) এবং সম্রাট।