বেনাপোলে লাগেজ পার্টির রোষানলে ডেপুটি কমিশনার : থানায় জিডি
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াতকারী লাগেজ পার্টির চোরাচালানের মালামাল আটক করতে গিয়ে রোষানলে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. আব্দুল কাইয়ুম। চোরাচালানিরা তাকে প্রায়ই প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় গত ৩০ ডিসেম্বর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।
লাগেজ পার্টি নামধারী চোরাচালানি সদস্যরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার চোরাচালানির পণ্য পাচার করছে দীর্ঘদিন এই পথে। কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুশ রশিদ মিয়া বেনাপোল যোগদানের পর পরই ভারতে থেকে আসা কয়েক কোটি টাকার মালামাল আটক করেন। আদায় করা হয় ৩০ লাখ টাকার রাজস্ব। যারা প্রকৃত পাসপোর্ট যাত্রী তারা ব্যাগেজ স্ক্যানিং করে সরাসরি গ্রিন চ্যানেল দিয়ে চলে যাচ্ছে। কাস্টমস ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে নিয়ে আসা চোরাই মালামাল আটক করে রাজস্ব আদায় করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কথিত লাগেজ পার্টির সদস্যরা।
সম্প্রতি ভারতীয় একটি চোরাচালানি চক্র পাসপোর্ট নিয়ে প্রতিদিন বিজিনেস ভিসায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে। তাদের সঙ্গে থাকা লাখ লাখ টাকার মালামাল চেকপোস্টেই বিক্রি করে আবার ভারতে ফিরে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কাস্টমসে ডেপুটি কমিশনার আব্দুল কাইয়ুম।
গত ২৯ ডিসেম্বর সকালে বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশে আসেন ভারতীয় লাগেজ পার্টির যাত্রী রিয়াজ মণ্ডল। তিনিও প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার পণ্য পাচার করে এনে বেনাপোল চেকপোস্টের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে ফিরে যান দেশে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই দিন তার ৩০ লাখ টাকার মালামাল আটক করে রাজস্ব পরিশোধ করে ছেড়ে দেয়।
বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী মাহবুবুল আলম জানান, পাসপোর্টযোগে চোরাচালান ব্যবসা বেড়েছে এই্ পথে। পাসপোর্টে ল্যাগেজ পার্টির সদস্যরা প্রতিদিন এক একজন লাখ লাখ টাকার চোরাই পণ্য নিয়ে আসছে দেশের অভ্যন্তরে। তাদের পণ্য আটক করলেই তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আক্রমণ করছে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর। তাদের জন্য আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের যাতাযাতে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, সত্যিকারের যাত্রীদের কোনো ধরনের হয়রানি করা হয় না। অবৈধভাবে কাস্টমসকে ফাঁকি দিয়ে চোরাই মালামাল নিয়ে আসা ব্যবসায়ীদের পণ্য আটক করলেই তারা হয়রানির অভিযোগ করে থাকে। কঠোর নজরদারির কারণে চোরা পথের ব্যবসায়ীরা এখন শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মালামাল আনতে পারছে না।