বেলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি
রমজান শুরু হলেই কদর বাড়ে বেলের। লেবুর ক্ষেত্রেও তাই। ফলে, প্রতি রমজানে এ দুই ফলের দামই বাড়ে। বেলের দাম বেড়েছে অন্তত দ্বিগুণ। কোথাও কোথাও এরও বেশি। লেবুর দামও দফায় দফায় বেড়েছে।
মো. বিল্লাল হোসেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ফল মার্কেটে প্রায় ১০ বছর ধরে ফল বিক্রি করেন। আজ রোজার প্রথম দিনে তিনি দোকানে বড় বড় বেল সাজিয়ে রেছেন। দাম কেমন জানতে চাইলে বললেন, ‘১৫০ টাকা পিস! দরদাম না করলে ১০ টাকা কম রাখা যাবে।’
বিল্লালের কাছে জিজ্ঞেস করা হয়, এক সপ্তাহ আগে একই ধরনের বেলের দাম কত ছিল? বিল্লাল বললেন, ‘এ বেল ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। রোজার জন্য বেড়ে গেছে। কারণ, রোজার সময় অনেক চাহিদা বেড়ে যায় বেলের। চাহিদা অতিরিক্ত হওয়ায় পুরো সিজনেও বেলের দাম অনেক চড়া।’
বিল্লালের পাশেই শেখ আবু সাঈদ নামের আরেক ফল বিক্রেতা ছোট-বড় বেলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। তিনি বললেন, দুদিন আগে যে বেল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বিক্রি করছি; সেই বেল আজ ৭০ টাকা দামেও বিক্রি করছি।’
লেবুর হালি ৬০ টাকা
অন্যদিকে রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে অন্যতম হলো লেবু। এ ছাড়া শসা, ধনিয়াপাতা, বেগুন ও ছোলা রয়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লেবু বিক্রি হচ্ছে এমন কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা হালিপ্রতি লেবু বিক্রি হচ্ছে। ছোট লেবুগুলো ৩০ টাকা থেকে শুরু। মাঝারি সাইজের লেবু ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও বড় লেবু ৬০ টাকা হালি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
শসার কেজি ৬০ টাকা
এক সপ্তাহ আগে শসা ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। আজ সেই শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া বাজারে ১০ টাকা আঁটির ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এ ছাড়া বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। গতকাল বৃহস্পতিবারের চেয়ে অন্তত ১০ টাকা কেজি দরে বেড়েছে। এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে।
তরমুজের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা
বাজারে তরমুজের বেশ চাহিদা। কয়েকজন বিক্রেতাকে শতশত পিস তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। সাইফুল নামের এক বিক্রেতা বলে চলেছে, ‘যেটাই নেবেন (কিনবেন) ৩০ টাকা কেজি। কোনো দরদাম নেই।’ সাইফুলের পাশে রুহুল কুদ্দুস নামের আরেক বিক্রেতা বলছিলেন, ‘দেইখা লন, বাইচ্ছা লন; ৩৫ টাকা কেজি।’ বিক্রেতাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ক্রেতাও যেন হুমকি খেয়ে পড়েছে তরমুজের দোকানে।