বেশি দামে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি, ১১ লাখ টাকা জরিমানা
কয়েকগুণ বেশি দামে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি এবং গুদামজাত করার দায়ে রাজধানীর মিডফোর্টের আটটি ফার্মেসিকে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া এদিন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত সরকারি ও নকল ওষুধ রাখার দায়েও একটি ফার্মেসিকে জরিমানা করেছে।
আজ মঙ্গলবার র্যাব-৩ এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আটটি ফার্মেসিকে মোট ১৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে সরকারি ও নকল ওষুধ রাখার জন্য একটি ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয় ছয় লাখ টাকা। বাকি পৌনে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বেশি দামে বিক্রির জন্য।
পরে বিকেলে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
সারওয়ার আলম বলেন, ‘১০ থেকে ১৫ টাকার যে মাস্ক সেই মাস্ক এখানে পাইকারী বিক্রি করা হচ্ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এসব মাস্কের ভেতর কিছু মাস্ক দেখলাম যে, ফিল্টার মাস্ক বলে বিক্রি করা হলেও আসলে তা ফিল্টার মাস্ক না। এই অপরাধে আনোয়ার সার্জিকেল নামের একটি ফার্মেসিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
মাস্কের পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের গুদামজাতের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছিল বলেও জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি আরো বলেন, ‘শুধু এটা নয়, সরকারি ও নকল ওষুধ বিক্রি করার কারণে দেওয়ান এন্টারপ্রাইজের মালিককে এক বছরের কারাদণ্ড ও ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাও দায়ের করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সারওয়ার আলম বলেন, ‘এ ছাড়া তপু অ্যান্ড ব্রাদারসকে দুই লাখ টাকা জরিমানা, আল ওয়ারি সার্জিকেলকে এক লাখ টাকা, মেসার্স লোকনাথ ড্রাগ হাউজকে ৭৫ হাজার টাকা, মা মেডিসিন হাউজকে দেড় লাখ টাকা, ওয়েব মেডিসিনকে তিন লাখ টাকা এবং সার্জি গ্লো হাউজকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
এদের সবাইকে জরিমানা করা হয়েছে মাস্ক ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার বেশি দামে বিক্রি করার দায়ে। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে র্যাব।