বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজে কোরবানি ছাড়া খরচ ৪ লাখ ৬৩ হাজার
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের খরচ নির্ণয় করে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
এর মধ্যে সাধারণ প্যাকেজ মূল্য চার লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মিনায় কোরবানির খরচকে এ প্যাকেজের বাইরে রাখা হয়েছে। কোরবানির জন্য আলাদাভাবে প্রত্যেক হজযাত্রীতে ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা ব্যয় করতে হবে বলে জানিয়েছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্যাকেজ ঘোষণা করেন হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
হাব সভাপতি বলেন, ‘বিমান ভাড়া মোট এক লাখ ৪০ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া এক লাখ ৫৮ হাজার ৫৬ টাকা, সার্ভিস ও পরিবহণ ব্যয় ৪২ হাজার ৬৩৫ টাকা, জমজম পানি ২৯২ টাকা, অন্যান্য সার্ভিস চার্জ ৬২ হাজার ২৩৬ টাকা, লাগেজ পরিবহণ ৭২৯ টাকা, ভিসা ফি আট হাজার ৩৮৪ টাকা, ইনস্যুরেন্স দুই হাজার ৬৭৩ টাকা, স্থানীয় সার্ভিস চার্জ এক হাজার টাকা, ক্যাম্প তহবিল ২০০ টাকা, প্রশিক্ষণ ৩০০ টাকা, খাওয়া ৩২ হাজার টাকা, নিবন্ধন দুই হাজার টাকা, মোনাজ্জেম খরচ চার হাজার টাকা, হজ গাইড খরচ ১০ হাজার ২৩৮ টাকা। এ ছাড়া প্রত্যেককে কোরবানির জন্য ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা অতিরিক্ত হিসেবে দিতে হবে।’
এর আগে গতকাল বুধবার চলতি বছর হজযাত্রীদের জন্য সরকারিভাবে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। গতবারের তুলনায় এবার প্রত্যেক হজযাত্রীকে লাখ টাকারও বেশি ব্যয় করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, ‘সরকারিভাবে হজে যেতে প্রস্তাবিত প্যাকেজ-১-এ পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২-এ চার লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা খরচ হবে।’
সর্বশেষ ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন হজযাত্রীরা। তখন হজ পালনে প্যাকেজ-১-এ চার লাখ ১৮ হাজার ৫০০ এবং প্যাকেজ-২-এ খরচ ধরা হয়েছিল তিন লাখ ৪৪ হাজার টাকা।