বৈঠকে বসেছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বৈঠকে বসেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, এ বৈঠকে খালেদা জিয়ার গতকালের রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করা হবে। একই সঙ্গে তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে চিকিৎসকেরা বলবেন কখন তাঁকে বিদেশে নেওয়া যেতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বৈঠকটি শুরু হয়। এতে অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী, ডা. আল মামুন, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. আব্দুশ শাকুর খান, এভারকেয়ার হসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. সিনা, ডা. ফাহামিদা বেগম, ডা. মাসুম কামাল, ডা. আল মামুন, ডা. সাদিকুল ইসলাম ও ডা. তামান্না অংশ নিয়েছেন। অনলাইনে যোগ দিয়েছেন লন্ডন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষজ্ঞ টিম। এ ছাড়া ভার্চুয়ালি রয়েছেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান।
এর আগে গতকাল রাতে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আবেদন করা হয়। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এই আবেদন করেন। ওই আবেদনপত্র পর্যালোচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে করা আবেদন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আবেদনের গুরুত্ব বিবেচনা করে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে আমাদের মন্ত্রণালয়ের সচিবের হাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত আবেদনটি পৌঁছেছে। আইনি দিক বিশ্লেষণ করে এবং মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে আমরা খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেব আশা করছি।
এর আগে এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিফোনে সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ এবং সরকারের অনুমতির ওপর।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনায় আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়। কিন্তু আবারও ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাতে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
শ্বাসকষ্টজনিত কারণে গত সোমবার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এখনো তিনি সেখানেই আছেন।