বৈধ-অবৈধ নয়, শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছি : নিপুণ
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আপিল শুনানির দিন পিছিয়ে আগামী ৫ জুন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আজ সোমবার শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। অন্যদিকে, নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
এ সময় অভিনয়শিল্পী নিপুণ আক্তার ও জায়েদ খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে শুনানির তারিখের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেন এ দুই শিল্পী ।
নিজেকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করা নিপুণ আক্তার বলেন, ‘এটা শিল্পীদের সমিতি। আমি শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।’
নিপুণ আরও বলেন, ‘এবার ঈদে শিল্পীরা বোনাস পেয়েছেন। ঈদের খাদ্যসামগ্রী শিল্পীদের বাসায় পৌঁছে দিয়েছি। ইফতার মাহফিল করেছি। বৈশাখের উপহার দিয়েছি। আমার কাছে শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষাই বড় কথা।’
এক প্রশ্নের জবাবে নিপুণ বলেন, ‘বৈধ-অবৈধ নয়। বড় কথা হলো—আমি শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ে জিতব।’
অপরদিকে জায়েদ খান বলেছেন, ‘সারা দেশের মানুষ জানে—আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। অথচ লজ্জাহীনভাবে দখল করে চেয়ারে বসে আছেন নিপুণ।’
আজ সুপ্রিম কোর্ট থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন জায়েদ খান।
এক প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা থাকার পরও নিপুণ আদালতের আদেশ অমান্য করে চলছেন। আমি সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ কারণে জোর করে চেয়ার দখলের কোনো ইচ্ছা নেই। অসত্যের বিরুদ্ধে আমি লড়াই করে যাচ্ছি।’
এর আগে গত ১৩ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে চেম্বার আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ নিপুণ আক্তার ও জায়েদ খানকে কঠোরভাবে পালন করতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
গত ৮ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার আদেশের পরেও সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসায় নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন জায়েদ খান।
এর আগে, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করা হয়
গত ৩ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নিপুণ আক্তার।
গত ২ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ ছাড়া গত ৭ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচনি আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিঠির কার্যকারিতাও স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। চিত্রনায়ক জায়েদ খানের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ রায় দেন।