ব্যবসায়ীদের লাভ করার প্রবণতা অনেক বেশি : খাদ্যমন্ত্রী
দেশের চালের দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে লাভ করার প্রবণতা অনেক বেশি। এই করোনা মহামারির মধ্যেও মানবতার অবস্থা ছেড়ে দিয়ে কীভাবে বেশি লাভ করবে, এ নিয়েই তারা বেশি ব্যস্ত। ব্যবসায়ীরা শুধু চাল নিয়েই নয়, সুযোগ পেলে সব কিছুতেই বেশি লাভ করতে চায়। আল্লাহ তাদের ওপর মানবতার রহমত বর্ষণ করুক।
আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মিল মালিকরা অবৈধভাবে চাল মজুদ করছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে, ব্যবসায়ীরা এবার অনেক মজুদ করছেন। স্থানীয় প্রশাসন মজুদের তদারকি করছে। মিলে মজুদ না করে গোপন কোনো জায়গায় মজুদ করে কিনা সেটি আমরা মনিটরিং করার চেষ্টা করছি।
২০১৮ সালে ধানের দাম অনেক কমে যাওয়ায় কৃষকদের লোকসান হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ওই সময় ধান রপ্তানির মতো অবস্থাও ছিল না। ফলে কৃষকরা কম মূল্য পেত। তারা ধান উৎপাদন না করে জমি কেটে চিংড়ি ঘের, পুকুর, ফল ও সবজির বাগান করছিল। তখন যাতে চাল আমদানি না হয় সেজন্য এ ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছিল।
চালের মজুদের কথা জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের খাদ্যগুদামগুলোতে এখন ১৪ লাখ মেট্রিকটন চাল মজুদ আছে। সারা দেশে বিশেষ ওএমএস দেওয়া হচ্ছে। চাল আনতে বিধিনিষেধের মধ্যে ট্রাকের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম কিছুটা বেড়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, যারা চাল আমদানি করতে চান আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে বলেছি। তাদের আবেদন দেখে সক্ষমতা অনুযায়ী আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।