ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় পাবনায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় আলাউদ্দিন ওরফে আলাল নামের এক বালু ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ২২ বছর পর চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বিকেলে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আসামিদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপরদিকে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় দুজনকে খালাস দিয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক, আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সুমন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সুজানগর উপজেলার মো. জাহাঙ্গীর হাসান, ভবানীপুর গ্রামের কালাম শেখ, ভাঁড়ারার আওরঙ্গবাদ এলাকার নজরুল ইসলাম এবং সদর উপজেলার বাহিরচরের রবিউল ইসলাম রবি। এদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর হাসান ও রবিউল ইসলাম রবি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুজন পলাতক। পরে জাহাঙ্গীর ও রবিকে কারাগারে পাঠান আদালত।
নিহত আলাউদ্দিন ওরফে আলাল ভাঁড়ারা ইউনিয়নের আওরঙ্গবাদ এলাকার মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে। পেশায় তিনি বালির ব্যবসায়ী ছিলেন। আলালের সঙ্গে বালির ব্যবসার সূত্রেই আসামি মো. জাহাঙ্গীর হাসানের পরিচয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধে ২০০০ সালের ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালের দিকে অন্যান্য আসামিদের দিয়ে নিহত আলাউদ্দিন ওরফে আলালকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান জাহাঙ্গীর। পরে তাকে হত্যা করে পাশের চরতারাপুর পয়েন্টের পদ্মা নদীতে ফেলে দেন। ঘটনার তিন দিন পর পদ্মা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত আলালের চাচা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় প্রথমে জাহাঙ্গীরকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগপত্র দিলেও পরে বাদীর নারাজিতে দ্বিতীয় বারে জাহাঙ্গীরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১২ জনের সাক্ষী ও দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ আদালত এই রায় দিলেন।