ব্যাংক খাতে সংকট দুর্বল শাসনের কারণে : সিপিডি
‘দেশের ব্যাংক খাতের চলমান গভীর সংকট কোভিড কিংবা যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে নয়। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা দুর্বল শাসন ও সংস্কারের অভাবে এ সংকট তৈরি হয়েছে’ এমনটিই মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
আজ শনিবার মহাখালীর ব্র্যাক-ইন সেন্টারে ‘সংকটে অর্থনীতি : কর্মপরিকল্পনা কী হতে পারে?’ শীর্ষক সংলাপে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘ব্যাংক খাতের দুর্বলতা কোভিডের কিংবা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্টি হয়নি। এই খাত দীর্ঘদিন ধরে দুর্বলতার মুখোমুখি। খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে, বিভিন্ন সূচকে দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। দুর্বল সুশাসন ও সংস্কারের অভাবে এই খাত ক্রমান্বয়ে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে।’
সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পিআরআই-এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান হাবিব মনসুর, বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী হক চৌধুরীও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। এটার যদি উন্নতি না হয় তাহলে ব্যাংকগুলোতে মূলধনের ঘাটতি রয়েই যাবে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে।
খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাস্তবে যা দেখানো হচ্ছে, তারচেয়ে অনেক বেশি উল্লেখ করে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক জানান, খেলাপি ঋণের এ বিষটি আইএমএফ ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন। এর ভেতরে যদি আরও বেশ কিছু আনা হয়, ঋণের পরিমাণটা বেশি হবে। স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্ট, লোন যেগুলো রয়েছে কোর্ট ইনজাকশনের মধ্যে এগুলো হিসাব দেওয়া হলে সেটা দ্বিগুণের বেশি হবে। প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক, আইন ও তথ্যগত দুর্বলতার কারণে ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।