ব্যারিস্টার হওয়ার সাধ মিটল না জবিছাত্রী স্বর্ণার
ব্যারিস্টার হওয়ার সাধ মিটল না স্বর্ণার। আগামী রোববারের পরীক্ষায়ও বসা হলো না তাঁর। আজ বুধবার সকালে বাড়ির কাজের মেয়ে ঘর ঝাড়ু দিতে এসে দেখতে পায় স্বর্ণার নিথর দেহ ঝুলছে ছাদের সিলিংয়ের হুকের সঙ্গে।
মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরা শহরের খুলনা মোড়ের পাশে মধুমোল্লারডাঙ্গীতে। স্বর্ণার বাবা ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সেলিম। মেধাবী ছাত্রী সুমাইয়া মেহজাবিন স্বর্ণা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার একটি পরীক্ষার জন্য বাবার সঙ্গে তাঁর ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল!
স্বর্ণার বাবা নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সেলিম বলেন, ‘আমি ছিলাম কর্মস্থলে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পড়া শেষ করে স্বর্ণা তার মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। ভোরবেলায় মায়ের কাছ থেকে উঠে নিজের ঘরে যায় সে। আজ ছুটির দিন হওয়ায় সবাই বেশিক্ষণ ঘুমে ছিল। সকাল ১০টার দিকে কাজের মেয়ে ঝাড়ু দিতে স্বর্ণার ঘরে ঢুকতেই দেখতে পায় তাঁর ঝুলন্ত লাশ। সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক স্বর্ণাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।’
প্রতিবেশীরা জানায়, স্বর্ণা খুব মেধাবী ছিলেন। হাসিখুশি, সহজ-সরল স্বভাবের মেয়েটি লেখাপড়া নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল ব্যারিস্টার হওয়ার।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শরিফুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতাল থেকে লাশ গ্রহণ করি। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মরদেহ মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর গলায় ফাঁসের দাগ ছিল। প্রাথমিকভাবে আমি এটাকে আত্মহত্যা বলে মনে করছি। পরিবারের দাবিও তাই। এ নিয়ে আরও তদন্ত হবে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।