ব্যালটের বদলে বুলেট কেন, প্রশ্ন মির্জা আব্বাসের
‘আক্রমণকারীকে এখন থেকে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে’ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘এখন থেকে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে। কেউ আমাদের কামড়াবে আর আমরা বসে বাঁশি বাজাব তা হতে পারে না।’ তিনি আরও বলেছেন, আগামী দিনে এই সরকারকে বানের পানির মতো ভাসিয়ে দেব। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ব্যালটের বদলে বুলেট কেন?’
আজ শনিবার (২০ মে) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য এসব কথা বলেন। ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মতিঝিলের পীরজঙ্গী মাজারের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অবৈধ নিশি রাতের সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আসুন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রস্তুতি নিই। ইনশা আল্লাহ, আগামী দিনে এই সরকারকে বানের পানির মতো ভাসিয়ে দেব।’
ব্যালটের বদলে বুলেট কেন—এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘অধিকারের কথা বলতে গেলে পুলিশের হাতে মার খাচ্ছে মানুষ। এই দেশের মানুষ ভোটাধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামলেই তাদের ওপর গুলি চালানো হয়, যা বিশ্বের কোনো সভ্য দেশে হয় না। প্রতিবেশী ভারতেও গুলি করা হয় না। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই সরকার গুলি চালায়। তারা ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই ভোটের তোয়াক্কা করে না।’
শিল্প প্রতিমন্ত্রীর কথা টেনে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে সরকারের এক প্রতিমন্ত্রী নিজের মুখেই বলেছেন, সব কথা বলতে গেলে দেখবেন আমার লাশটা রাস্তায় পড়ে আছে। এ ধরনের কথা যখন মন্ত্রী বলেন, তখন আমরা আর কি বলতে পারি। আমাদের নেতাকর্মীরা তো অহরহ মার খাচ্ছে। গুলি খাচ্ছে। তাদের লাশ পড়ছে।’
খুলনায় বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের গুলির অভিযোগ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আপনারা তো আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলেন। যারা গুলি করছেন মনে রাখবেন এই পোশাক কিন্তু সারা জীবন আপনাদের গায়ে থাকবে না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মো. রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, মীর সরফত আলী সপু, কামরুজ্জামান রতন, রকিবুল ইসলাম বকুল, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহানগর বিএনপির নবীউল্লাহ নবী, হাবিবুর রশিদ হাবিব, লিটন মাহমুদ, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, কৃষকদলের শহীদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, ওলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাবসহ অনেকে।