ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রেতাশূন্য পশুর হাট, হতাশ বিক্রেতা
শেষ দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনেকটাই ক্রেতাশূন্য কোরবানির পশুর হাট। এতে দূর-দূরান্ত থেকে পশু নিয়ে আসা বিক্রেতারা কম দামে তাদের পশু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে কম দামে পছন্দের পশু কিনতে পেরে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেলেও বিক্রেতারা হতাশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাটের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলায় খামারের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবার এসব হাটে রয়েছে পর্যাপ্ত পশু। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের প্রভাব পড়েছে পশুর হাটেও। এসব হাটে বড় পশুর তুলনায় মাঝারি ও ছোট পশুর চাহিদা বেশি। ক্রেতা কম হওয়ায় পশুও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বিক্রেতারা।
খামারিরা জানিয়েছেন, কোরবানিকে সামনে রেখে সারা বছর পশু লালনপালন করে বাজারে আনার পর ক্রয়মূল্যের চেয়েও কমে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাড়িতে বসে যে দামে বিক্রি করা যেত হাটে প্রতিটি পশু তার চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা কমে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে হাটে আনা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কাজ করছে একাধিক ভ্যাটেনারি টিম। এ ছাড়া জেলার হাটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি জাল টাকা রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। জেলায় এবার অস্থায়ী ৬১টি এবং স্থায়ী ২০টি হাট মিলিয়ে মোট ৮১টি হাট বসেছে।