‘ব্ল্যাক কাউ’ -এর দাম ২০ লাখ!
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিশাল আকারের একটি গরু প্রস্তুত করেছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের আমিরুল মেম্বার। ভালোবেসে গরুটির নাম রেখেছেন ‘ব্ল্যাক কাউ’। গরুটি দাম হাঁকিয়েছেন ২০ লাখ টাকা।
দুই বছর আগে গরুটি কেনেন আমিরুল। অল্প অল্প করে টাকা বিনিয়োগ করে কোনো রকম কীটনাশক বা ক্ষতিকর ভিটামিন কিছু ছাড়াই শুধু গমের ছাল ও খড়-বিচালি দিয়ে পারিবারিক আদলে গরুটিকে মোটাতাজা করেন তিনি। উদ্দেশ্য কোরবানির ঈদে বিক্রি করে একবারে হাতে টাকা পাওয়া ও কিছু লাভের আশা।
কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে গত কোরবানির ঈদে সঠিক দাম না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারেননি গরুটি। বর্তমান সময়ে করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা দেশেই একটা অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গরুর সব রকম খাদ্যের দামে। এমন অবস্থায় গরুটি বাজারে নিতে পারবেন কিনা, বাজারে নিলেও ক্রেতা মিলবে কিনা, ক্রেতা মিললেও দাম পাওয়া যাবে কিনা এসব নানাবিধ বিষয় নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে আমিরুল মেম্বার। তবে আসছে কোরবাণির ঈদে যেভাবেই হোক গরুটি বিক্রি করতে চান তিনি।
গরুর মালিক আমিরুল মেম্বর বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে গরুটি আমি ও আমার পরিবারের সবাই সন্তানের মতো করে লালন পালন করেছি। গরুটির খাবার বাবদ প্রতিদিন খরচ হয় ৮০০ টাকা। বাড়ি থেকে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে গরুটি বিক্রি করতে চাই।’
আমিরুল আরও বলেন, ‘গত বছর আট লাখ টাকা দাম উঠেছিল ব্ল্যাক কাউয়ের। বর্তমানে ব্ল্যাক কাউ আরও বড় হয়েছে। এতে প্রায় ৩২ মণ মাংস হবে। ব্ল্যাক কাউকে আমি ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চাই।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কোনো রকম কীটনাশক বা ক্ষতিকর কিছু ছাড়াই মাঠের ঘাস ও স্বাভাবিক খাবার খাওয়ায়ে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কুষ্টিয়ার খামারীরা গরু লালন পালন করেন। সে কারণেই ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কুষ্টিয়ার গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এই অঞ্চলে এখনো বেড়েই চলেছে। তাই এখানকার খামারীদের গরু অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
খামারীরা এবার সঠিক দাম পাবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।