বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানেরও অনিয়ম ধরা হচ্ছে : ভোক্তার ডিজি
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। তবে গত ছয় থেকে আট মাসে তাদের ভেতরে ঢুকেছি, তাদের অনিয়ম ধরা হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানকেও ধরা হচ্ছে।
আজ রোববার ভোক্তা-অধিকারের গণশুনানিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবন মিলনায়তনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, গুলশান, বনানীর বিভিন্ন শোরুমে আমদানিকারকের নাম ঠিকানা ছাড়া গুঁড়া দুধসহ বিভিন্ন কসমেটিক পাওয়া যাচ্ছে। এত বেশি পণ্য লাগেজে আসে না, এগুলো নকল। তাই আমদানিকারকের নাম, ঠিকানা ও এমআরপি ছাড়া কোনো পণ্য বিক্রি করা যাবে না।
আমরা নিজে মামলা না করলেও, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিআইডিসহ প্রতিযোগিতা কমিশন মামলা করেছে। ২০০৯ সালের ভোক্তা আইনের একটা জায়গা পরিষ্কার না, তা নিয়ে কাজ চলছে। আইন সংশোধন করা হচ্ছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলেই আমরা তা আমলে নিই। গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় তিতাস গ্যাসকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ৩৩০ টাকার গ্যাস ১ হাজার ৮৫ টাকা করা হয়েছে। তারপরও ঠিক মতো মেলে না, এটা হতে পারে না।
কুরিয়ার ব্যবসায়ীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ মহাপরিচালক বলেন, আমের ভরা মৌসুমে ভোক্তাদের ঠিক সময়ে আম দেওয়া হয়নি। তাই আইনের মধ্যে থেকেই জরিমানা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ভোক্তা অধিকার আইনে তিন ধরনের ব্যবস্থা আছে। বাজার অভিযানে জরিমানার সঙ্গে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা করারও বিধান আছে। তবে এ ধরনের মামলা করতে মহাপরিচালকের অনুমোদন লাগে বলে করা হয় না। কিন্তু আমার আজকের বক্তব্য স্পষ্ট, বড় বড় অপরাধে ফৌজদারি মামলা করতে হবে।’
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. আমিন হেলালীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা।