বরিশালে ঘুমন্ত শাশুড়িকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ, পুত্রবধূ আটক
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় লাবণ্য আক্তার নামের এক নারীর বিরুদ্ধে তাঁর ঘুমন্ত শাশুড়িকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে লাবণ্য আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত নারীর নাম নাজনীন বেগম (৫০)। তিনি কাঁঠালিয়া গ্রামের মৃত হানিফ হাওলাদারের স্ত্রী।
নাজনীনের ভাসুর মো. কালাম হাওলাদার বলেন, ‘গতকাল বুধবার রাতে নাজনীনের ছেলে উজ্জ্বল ফোন দিয়ে জানায় যে, তাঁর মা ফোন ধরছে না। আমাকে ঘরে গিয়ে তাঁর মায়ের খোঁজ নিতে বলে। পরে নাজনীনদের ঘরের সামনের দরজা বন্ধ দেখে পেছনের খোলা দরজা দিয়ে ঢুকি। ওই সময় চৌকির পাশে মশারিতে প্যাঁচানো এবং রক্তাক্ত অবস্থায় নাজনীনের মরদেহ দেখতে পাই। পরে পুলিশকে খবর দেই।’
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন বলেন, ‘স্থানীয়দের বরাতের ভিত্তিতে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মশারির মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি পাই। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর হত্যাকারীর জামা-কাপড় রক্তে ভিজে যাওয়ায় সেগুলো চালের ড্রামের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।’
বাকেরগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুদীপ্ত সরকার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। রান্নার কাজে ব্যবহৃত ছুরি দিয়ে ঘুমন্ত ওই নারীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। তবে, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা, সেটি তদন্তে উঠে আসবে। আমরা সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছি।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উজ্জ্বল হাওলাদারের স্ত্রী লাবণ্য আক্তার তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে এক ঘরেই থাকতেন। উজ্জ্বল ও তাঁর ছোট ভাই রাজু হাওলাদার জীবিকার প্রয়োজনে ঢাকায় থাকেন। তাঁরা দুই ভাই ঈদ শেষে গত মঙ্গলবার ঢাকায় ফিরে যান।