ভয় দেখিয়ে মানুষকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না : মির্জা ফখরুল
আইএমএফের কাছ থেকে টাকা লোন নিয়ে জনগণের ওপর আবার ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হবে বলে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে এই মুহূর্তে পদক্ষেপ করুন। সংসদ বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এ সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন নেই, আমাদের লাগবে না। এখন দেখতে পাচ্ছি টাকা লোন নেওয়া হচ্ছে। লোন নিবেন ভালো কথা, কিন্তু ব্যয় করবেন কোথায়? বড় বড় মেগাপ্রকল্প নয়, দেশের মানুষের প্রয়োজন এখন বেঁচে থাকা। টাকা লোন নিয়ে তো আবার জনগণের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনারা তো দেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন।
আওয়ামী লীগের চরিত্রের মধ্যে গণতন্ত্র নেই দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। স্বাধীনতার পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন বিগত ১৪ বছর ধরে অনির্বাচিত সরকার হয়ে একটি ভিন্ন লেবাসে গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল প্রতিষ্ঠায় উঠেপড়ে লেগেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৫% ভোট জনগণ দেয়নি, আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে করে ফেলেছে। তাদের একটাই মূল লক্ষ্য সেটা হচ্ছে দুর্নীতি চুরি করে দেশকে ফোকলা করে দেওয়া।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে এই মুহূর্তে পদক্ষেপ করুন। সংসদ বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনে সরকার নতুন করে ফন্দি ফিকির বের করছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের চলমান আন্দোলন বিএনপির জন্য নয়, আমরা আন্দোলন করছি জনগণের ভোটাধিকার, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করতে। নতুন করে মামলা শুরু হয়েছে, মামলা দিয়ে পুরোনো খেলা শুরু করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কতটা যেন বিচ্ছিন্ন ভয় পেলে মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মামলা দিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই থেকে সরানো যাবে না। বরং সবার সমাবেশে জনসমাগম বাড়ছে।