ভারতের সবচেয়ে ভালো বন্ধু বাংলাদেশ জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রিত : এএনআই রিপোর্ট
ভারতের সভাপতিত্বে আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য বাংলাদেশের প্রতি ভারতের আমন্ত্রণ প্রমাণ করে যে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ভারতের সেরা বন্ধু।
এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘দক্ষিণ এশীয়ায় একমাত্র বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি প্রমাণ করে যে, ভারতের নিকটবর্তী এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো বন্ধুর প্রতি সম্মান এতে প্রতিফলিত হয়েছে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৯-১০ সেপ্টেম্বর আসন্ন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার বৈঠক হবে।
দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করবে কারণ ২০২৪ সালে উভয় দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
চলতি বছর জি-২০ সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে ভারত অ-সদস্য দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর কনভেনশন অনুসরণ করে দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র বাংলাদেশকেই অতিথির তালিকায় আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
জি-২০ সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রিত অন্যান্য দেশগুলো হলো—মিশর, মরিশাস, নাইজেরিয়া, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সিঙ্গাপুর, ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এএনআই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সভ্যতা, সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতিতে একটি প্রধান স্থান রয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার সম্পর্কের ভিত্তি গভীর ঐতিহাসিক ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ। এ সম্পর্ক গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদের প্রতি পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি দ্বারা আবদ্ধ। সার্বভৌমত্ব, সমতা, বিশ্বাস এবং বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব কার্যত একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বকে ছাড়িয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে গত সেপ্টেম্বরে ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তীর যৌথ উদযাপন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের ভারত সফরের উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারত জি-২০ প্রেসিডেন্সির মাধ্যমে বৈশ্বিক এজেন্ডাকে রূপ দিতে চাইছে, তাই তার নিকটবর্তী প্রতিবেশী এলাকায় উন্নয়নের ধারণার অনেকগুলোর বাস্তবে রূপান্তর করতে বাংলাদেশের সমর্থন প্রয়োজন। সহযোগিতার এসব ক্ষেত্র ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ‘গোল্ডেন চ্যাপ্টার’ কে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।